অবশেষে রাতারাতি শুরু হল বীরভূমের ডেউচা পাঁচামির কয়লা খনির খনন কাজ

শম্ভুনাথ সেনঃ

অবশেষে বীরভূমের মহঃবাজারের ডেউচা পাঁচামীতে কয়লা তোলার জন্য ৬ ফেব্রুয়ারি রাতের অন্ধকারেই শুরু হলো খনন কার্য । যদিও এই খনন কার্য শুরু করার সময়েও লাঠিসোটা হাতে প্রশাসনিক কর্তাদের বিক্ষোভ দেখাতে আসেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। তবে কার্যত তাদেরকে দাবড়ে চুপ করিয়ে দেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এদিন নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে রাতের খনন কার্যের সময় উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং পুলিশ সুপার আমনদীপ সিং । এছাড়াও রাস্তায় বোল্ডার ফেলে আটকে দেওয়া হয় সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের গাড়ি । লাঠি হাতে তাড়াও করা হয় সাংবাদিক প্রতিনিধিদের । তবে সব মিলিয়ে সারাদিনের টানটান উত্তেজনার পরে অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো ব্যাসল্ট তোলার জন্য খননের কাজ শুরু হয়। উল্লেখ্য, গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন বীরভূমের ডেউচা-পাঁচামিতে খনন কাজ শুরু হতে চলেছে। সেই মতো এদিন দুপুরে খনন কাজ শুরু করতেই এলাকার মানুষের নানা দাবীতে শুরু হয় বিক্ষোভ। খোদ বীরভূম জেলাশাসক বিধান রায়, জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ সিং, রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান ৷ তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মানুষজন ৷ ফলে বন্ধ হয়ে যায় খননের কাজ ৷ এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ঘুম ছুটেছিল প্রশাসনের ৷ তড়িঘড়ি রাজ্য গ্রামোন্নয়ন পর্ষদের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল মহম্মদবাজার বিডিও অফিসে জেলার শীর্ষ প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে এদিনই বৈঠকে বসেন ৷ প্রায় ঘণ্টা চারেক বৈঠক হয় ৷ তারপর ফের জেসিবি মেশিন নিয়ে মথুরাপাহাড়ি পৌঁছান খোদ জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার। তাঁদের দেখেই লাঠি উচিঁয়ে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। কোনওরকমে বিক্ষোভের মাঝেই মুখ্যমন্ত্রীর মান বাঁচাতে শুরু হয় খনন কাজ ৷ তবে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তখনও লক্ষ্য করা যায় ৷ বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। উল্লেখ্য, প্রথম থেকেই ডেউচা-পাঁচামিতে কয়লা খনির বিরুদ্ধে আদিবাসীদের একটা বড় অংশ। এদিন অবশ্য সব বাধা অতিক্রম করে খননের কাজ শুরু করল প্রশাসন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *