‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ শান্তিনিকেতনের কোর জোনে রেঁস্তোরার অনুমতি! নানা প্রশ্ন চিহ্ন?

শম্ভুনাথ সেনঃ

‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ শান্তিনিকেতনের কোর জোনে কিভাবে রেঁস্তোরার অনুমতি দেওয়া হল! তা নিয়ে বোলপুর পুরসভাকে কড়া চিঠি বিশ্বভারতীর। শান্তিনিকেতনে দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় একটি কংক্রিটের রেঁস্তোরা নির্মাণ করছেন বোলপুর পৌরসভার প্রাক্তন পৌরপতি সুশান্ত ভকতের ছেলে বিকাশ ভকত৷ নির্মিয়মান রেঁস্তোরার দুদিকেই বিশ্বভারতীর জায়গা৷ বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব স্পষ্ট জানান, একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য কেন বিশ্ববিদ্যালয় তাদের রাস্তা দেবে? আর বোলপুর পৌরসভা কোন এক্তিয়ারে এহেন নির্মাণের অনুমতি দেয়? বোলপুর পৌরসভার পাশাপাশি বোলপুর মহকুমা শাসককেও এই মর্মে চিঠি দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাতো বলেন, “ধীরেন্দ্রমোহন সেনের কাছ থেকে ওই জায়গাটি ক্রয় করা হয়েছে। ওটা ব্যক্তি মালিকানাধীন। জানা গেছে ওখানে একটা কংক্রিটের নির্মাণ কাজ হচ্ছে৷ ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের কোর জোন থেকে মাত্র ২৫ মিটার দূরে এই ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান তৈরি হলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সমস্যা হবে। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ইউনেসকো বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ তকমা দিয়েছে। এই ‘হেরিটেজ’ রক্ষা করতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তারমধ্যে অন্যতম হেরিটেজ সীমানা থেকে ১০০ মিটার হল বাফার জোন৷ এই জোনে কোন রকম বড় নির্মাণ কাজ স্থাপন করা যাবে না বলে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়েছেন৷ যদিও এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বোলপুর পৌরসভার চেয়ারপার্সন পর্ণা ঘোষ বলেন, “কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য নষ্ট হতে দেব না। বিশ্বভারতীর চিঠি খতিয়ে দেখা হবে। তারপর যথাযোগ্য বিবেচনা করে ব্যবস্থা অবশ্যই নেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *