
সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
ঝাড়খন্ড সীমান্তবর্তী আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম রাজনগর ব্লকের গাংমুরি-জয়পুর অঞ্চলের কুড়ুল মাটিয়া। ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী ঝাড়খণ্ড বীরভূম সীমানা ঘেঁষা অবস্থায় বিরাজমান। গ্রামের প্রায় সব মানুষই দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস। যোগাযোগ ব্যবস্থাও খুবই খারাপ। যার ফলে এখানের মানুষের আর্থিক অবস্থা খুবই শোচনীয়।
দিনমজুরের উপর জীবন যাপন নির্বাহ করে। এছাড়াও এলাকায় কোনো কাজের সুযোগ নেই। তবে প্রাকৃতিক সম্পদ হিসেবে এলাকায় রয়েছে জঙ্গল। সেখান থেকে শাল পাতা সংগ্রহ করে কিছু উপার্জন করা যেতেই পারে। সেই স্বপ্ন জাগিয়ে তোলে রাজনগর রেঞ্জের রেঞ্জার কুদরতে খোদা। সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে একপ্রস্থ এগিয়ে দিশারী নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে এনিয়ে কথা বলেন। উক্ত সংস্থার সহযোগিতায় এই গ্রামের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের জন্য শাল পাতার থালা তৈরি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেন। বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই গ্রামের মহিলাদের একটি অত্যাধুনিক শালপাতার থালা তৈরির মেশিন প্রদান করা হয়। যারপরনাই মহিলাদের মুখে হাসির রেখা ফুটে ওঠে। অবসর সময়েও এটাকে কাজে লাগিয়ে রোজগারের একটা পথ খুলে গেল রেঞ্জার কুদরতে খোদার প্রচেষ্টায়। এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন প্রধান মুখ্য বনপাল বিদ্যুৎ সরকার, এডিএফও সোমনাথ চৌধুরী, বিভাগীয় বন আধিকারিক রাহুল কুমার, রাজনগর রেঞ্জার কুদরতে খোদা, বিট অফিসার মদন চন্দ্র গণ সহ অন্যান্য বন কর্মীরা।
