
সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
ধ্রুব জ্যোতি শুধু মা বাবার জ্যোতি নয় যেন এলাকার জ্যোতি হিসেবে বিকশিত। হ্যাঁ, বীরভূমের খয়রাসোল ব্লক এলাকার প্রত্যন্ত গ্রাম লোকপুর থানার পলাশবুনী গ্রামের এক কৃতি ছাত্র এলাকায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। নাম ধ্রুব জ্যোতি পাঞ্জা। এই মেধাবী তরুণ যুবা—২০২৫ সালের জেইই এ্যাডভান্স পরীক্ষায় ভারতের মধ্যে দেখলে ৩৪ তম স্থান। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে তৃতীয় এবং কলকাতা শহরের মধ্যে শীর্ষ স্থানাধিকারী হিসেবে নিজের সাফল্য ফুটিয়ে তুলেছে ।
প্রতিভাবান ধ্রুব জ্যোতির এই সাফল্য জেলার মুখ উজ্জ্বল করেছে । তার পিতা স্বপন কুমার পাঞ্জা ও মাতা প্রতিমা পাঞ্জা গ্রামেরই স্থায়ী বাসিন্দা। যদিও পড়াশোনার জন্য ধ্রুবজ্যোতি বর্তমানে কলকাতায় রয়েছে। তবে তার নাড়ির টান তথা মূল শিকড় বীরভূমের প্রত্যন্ত গ্রামের মাটিতেই গাঁথা। এই মাটির কঠোর বাস্তবতাকেই তিনি রূপান্তর করেছেন অনুপ্রেরণায়।
ভারতের সবচেয়ে কঠিন এবং মর্যাদাপূর্ণ পরীক্ষা হিসেবে পরিচিত জেইই এ্যাডভান্স-এ প্রতি বছর লক্ষাধিক ছাত্রছাত্রী অংশ নেয়। যাদের স্বপ্ন আইআইটি প্রকৌশলী হওয়ার। উল্লেখ্য ২০২৫ সালের জেইই মেইনস পরীক্ষায় প্রায় ১৩ লক্ষ ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করে। সেক্ষেত্রে ধ্রুব জ্যোতি পাঞ্জা ৫৫তম স্থান অর্জন করেন। এরপর জেইই এ্যাডভান্স এ ৩৪তম স্থান দখল করে মেধার বিকাশ ফুটিয়ে তোলে।
মাত্র ৬০ জনের মধ্যে সুযোগ পাওয়া এই পরীক্ষায় ধ্রুব জ্যোতির অবস্থান তাঁকে ভারতের যেকোনো শীর্ষ আইআইটি-তে পড়াশোনার স্বপ্ন পূরণের সুযোগ এনে দিয়েছে।
বীরভূম জেলার শিক্ষাঙ্গন থেকে উঠে এসে, একটি ছোট গ্রামের সন্তান আজ দেশের গর্ব হয়ে উঠেছেন। ধ্রুব জ্যোতির কৃতিত্ব শুধু তার একার নয়—এটি তার পরিবার, শিক্ষক, প্রতিবেশী, এবং গোটা পলাশবুনী ও বীরভূম জেলার সবার জন্যই এক বিশাল প্রাপ্তি।
ধ্রুব জ্যোতির এই যাত্রাপথ যেন ভবিষ্যতে আরও অনেক তরুণকে অনুপ্রাণিত করবে বলে আত্মীয়স্বজন, পাড়াপড়শি থেকে জেলা বাসীর মনোবাসনা। ধ্রুব জ্যোতি র জ্যোতি দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়ুক সেই শুভকামনা জানান সকলেই।