
সেখ রিয়াজুদ্দিনঃ
বিদ্যুৎ ক্ষেত্র আদানি, আম্বানি সহ বহুজাতিক কোম্পানির হাতে তুলে দিয়ে গ্রাহকদের টাকা লুট করার জন্য আনা হচ্ছে ভয়ংকর স্মার্ট মিটার। ইতিমধ্যে যেসব ক্ষেত্রে স্মার্ট মিটার বসিয়ে দেওয়া হয়েছে তারা ভয়ংকরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। যার প্রেক্ষিতে বর্তমানে তারা বিক্ষোভে ফেটে পড়ছেন,রাস্তা অবরোধ করছেন, এমনকি বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও পর্যন্ত করছেন। এ অবস্থায় দল মত নির্বিশেষে গণপ্রতিরোধে সামিল হয়ে স্মার্ট মিটার রুখে দিতে হবে জোরালো আওয়াজ তোলেন এবং মুরারই বিদ্যুৎ দপ্তরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এস ইউ সি আই কমিউনিস্ট পার্টি প্রভাবিত কৃষক সংগঠন এ আই কে কে এম এস।
তাদের বক্তব্য মোবাইল ফোনের মত প্রিপেড স্মার্ট মিটারে আপনাকে আগে টাকা রিচার্জ করতে হবে, তারপর বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবেন। রিচার্জের সময়সীমা শেষ হতেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। পুনরায় রিচার্জ করলে তবেই বিদ্যুৎ সংযোগ হবে। কত ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার হচ্ছে, দাম কত, মিটার ভাড়া কত, ফিক্সড চার্জ কত এসমস্ত বিষয়ে সকলেই অন্ধকারে থাকবে। কারণ কোন বিল (হার্ড কপি) পাওয়া যাবে না।
স্মার্ট মিটার আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি (এ আই) বা কৃত্রিম মেধার মাধ্যমে পরিচালিত হবে। মিটার এমনভাবে সেট করা যখন আপনি বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করবেন বিদ্যুতের দাম বেড়ে যাবে, (সকালে-বিকালে-রাত্রে ভিন্ন ভিন্ন দাম)।
স্মার্ট ফোনের মতই এই মিটার ৫/৬ বছর পর খারাপ হয়ে যাবে। তখন ১০ – ১২ হাজার টাকা দিয়ে আবার মিটার কিনতে হতে পারে। ৫ বছরের আগেই মিটার খারাপ হয়ে গেলে জটিল পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হবে। স্মার্ট মিটার নেট লিংক কানেকশন এর উপর নির্ভরশীল। এই সমস্ত অসুবিধার কথা তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি এও বলেন যে, স্মার্ট মিটার বসাতে না দেওয়ার পূর্ণ অধিকার গ্রাহকের আছে। তার প্রেক্ষিতে কি আইন রয়েছে তার বিস্তারিত বিবরণ দেন এদিন বিক্ষোভ সভা থেকে।
তাহলে স্মার্ট মিটার বসানোর ক্ষেত্রে সরকার এবং বিদ্যুৎ সংস্থাগুলি এত তৎপর কেন? গ্রাহকের টাকা লুট করে কর্পোরেট কোম্পানির পকেট ভরানোই তাদের উদ্দেশ্য। তাই এই মিটারের প্রশ্নে গ্রাহকদের আইনি রক্ষা কবজ যতটুকু এখনো আছে যে কোন সময় তা পরিবর্তন করে স্মার্ট মিটার বাধ্যতামূলক করে দিতে পারে। আমাদের আহ্বান, আসুন আপনারা স্মার্ট মিটার বসাবেন না এই মর্মে এক একটা বিদ্যুৎ দপ্তরে হাজার হাজার প্রতিবাদ পত্র জমা দিন। গণপ্রতিরোধে স্মার্ট মিটার রুখে দিন। এদিনের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের মুরারই লোকাল সম্পাদক জমিউদ্দিন।